হাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়া-হলের ডাইনিং বন্ধে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

গত বছরের অক্টোবরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও চালু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া। অন্যদিকে, চালু হয়েও নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে দুইটি আবাসিক হলের ডাইনিং। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

হাবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ রাখার ব্যাপারে দিলশাদের (দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান) মালিক মাজেদুল রহমান দুলাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা ক্যাফেটেরিয়া চালু রাখতে পারিনি। তবে ১৫ জানুয়ারির পর যদি সরকারি বিধি নিষেধ না থাকে তবে আমরা দ্রুতই আমাদের কার্যক্রম চালু করবো।

অন্যদিকে, হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, আমরা দিলশাদ কর্তৃপক্ষকে তাদের কার্যক্রম চালু করতে আহ্বান জানিয়েছি অনেক আগেই। তবে স্নাতকের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরেও যদি তারা তাদের কার্যক্রম চালু না করে তবে আমরা বিকল্প পথে হাঁটবো। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের যারা কম দামে উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করতে পারবে এমন প্রতিষ্ঠানকে ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্ব দেয়া।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও তাজউদ্দিন আহমেদ হলের ডাইনিং গতবছর চালু হওয়ার পরপরই পুনরায় নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ডাইনিং চালু না হওয়াতে তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

হলের ডাইনিং বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির তাজউদ্দিন আহমেদ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা মিঠু জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো প্রকার খাবারে ভর্তুকি দেয়া হয়না। এছাড়া ডাইনিং এর খাবারের মানও খুব একটা ভালো নয়। তাছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ হলে স্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত কোনো বাবুর্চি ও খাবার পরিবেশনকারী না থাকায় ডাইনিং চালাতে আগ্রহ দেখায় না ডাইনিং পরিচালনা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের সংকট ও ভোগান্তি কমাতে দ্রুত হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত কার্যকারি ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ চাই।

তাজউদ্দিন আহমেদ হলের হল সুপার মো. শাহানুর কবীর জানান, ডাইনিং এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গত মাসে কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়েছিলেন কিন্তু বর্তমানে তিনি অসুস্থ। সেকারণেই মূলত ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। আশা করি দ্রুতই ডাইনিং চালু হবে।

অন্যদিকে শেখ রাসেল হলে ডাইনিং চালু করার দাবিতে দীর্ঘ সময় জুড়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইলেও বিষয়টি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তবে সংশ্লিষ্ট হল সুপার জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কর্ণার, ডাইনিং চালু হলে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যয়ের হিসাব ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন শেষ করেছে। ফাইল প্রস্তুতির কাজও প্রায় শেষ। প্রশাসনের সম্মতি পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence