সংশোধিত হচ্ছে যবিপ্রবির প্রধান ফটক, ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটক  © প্রতীকি ছবি

সংশোধিত হচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান ফটক। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। মূলত প্রধান ফটকে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়া ও ছবি তুলতে সৃষ্ট নানা সমস্যার কারণেই এই সংস্কার, পাশাপাশি বর্ধন করা হচ্ছে ফটকটির সৌন্দর্য। এছাড়াও ফটকটির দুই পাশে প্রায় ৬০ ফিট জায়গায় নতুন করে দৃষ্টিনন্দন সীমানা প্রচীর করা হচ্ছে। 

যবিপ্রবির প্রধান ফটকে মূলত যশোরের ঐতিহ্য ও সুনিপুণ জ্যামিতিক আকৃতিকে মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে। প্রধান ফটকটির দুই পাশেই রয়েছে টেরাকোটার কাজ। এছাড়াও যশোরের ঐতিহ্য খেজুরের রস ও খেজুর গাছ কাটার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ফটকটির বাম পাশে এবং ডান পাশের দেওয়ালে রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের ম্যুরাল। প্রধান ফটকের ম্যুরালটি নিয়েও আছে নানা জটিলতা। ম্যুরালটির সামনে ফুল দেওয়ার জন্য নেই আলাদা কোন বেদি, রাস্তার উপরই দিতে হয় ফুল। আবার ম্যুরালটির অবস্থান এক পাশে ও মাটি থেকে বেশ উপরে হওয়ায় অনেক সময় অসাবধানতা বশত ছবি তোলার কারণে কাটা পড়ছে জাতির পিতার ছবি। তাছাড়াও ম্যুরালটি শুধুমাত্র একদিক থেকে যাতায়াতের সময়ই দেখা যায়।

বর্তমান ডিজাইন অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ডান পাশের দেওয়াল থেকে সরিয়ে নতুন একটি ম্যুরালটি বসানো হবে প্রধান ফটকের মাঝ বরাবর। এছাড়াও ফটকটির দুই পাশে প্রায় ৬০ ফিট জায়গায় নতুন করে সীমানা দেওয়াল করা হবে। এইবার মূল ফটকের নকশা অপরিবর্তিত রেখে সামান্য কিছু সংস্কার করা হচ্ছে ফটকটিতে। এইকাজে মোট খরচ হবে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ।

সার্বিক বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি আমরা নতুন করে সংস্কার করছি কারণ সেখানে কিছু সমস্যা ছিল। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আমরা ফুল ঠিকভাবে ফুল দিতে পারি না। ডিজাইনগত কারণে শুধুমাত্র একপাশ থেকেই ম্যুরালটি দেখা যায়। বর্তমানে ম্যুরালটি যেখানে আছে এই অবস্থায় অসাবধানতাবশত ছবি তোলার ক্ষেত্রে ছবি অবমাননা করা হচ্ছে কিনা এমন একটা প্রশ্ন থেকেই যায়? এবার আমরা ম্যুরালটি প্রধান ফটকের মাঝখানে স্থাপন করছি যাতে করে ম্যুরালটি সব পাশ থেকেই ভালভাবে দেখা যায়। এছাড়াও মূল ফটকটিকে আর বেশি দৃষ্টি নন্দন করার জন্য ফটকের দুইপাশের নকশারও পরিবর্তন করা হচ্ছে ।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আমরা শিক্ষার্থীদের মিলনের স্থান হিসেবে নতুন একটি চত্বর তৈরি করার চিন্তা করছি। আমরা চত্বরটি নতুন বিজ্ঞান ভবনের সামনের খালি জায়গায় তৈরি করার কথা ভাবছি, যেটি হবে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মূল প্রাণকেন্দ্র। আমি আশা করি ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে চত্বরটি নির্মাণ করতে পারব। সেখানে জাতির পিতাসহ জাতীয় চার নেতা ও বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence