শিক্ষা ও গবেষণায় রোল মডেল শাবিপ্রবি: উপাচার্য
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪০ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪০ PM
শিক্ষা ও গবেষণায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রোল মডেল বলে উল্লেখ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আগামীকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, বিগত ৩০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সবকিছুতে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে গত ২-৩ বছরে তা কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের গতি বেড়েছে কয়েকগুণ। দেশের মানুষের যে স্বপ্ন নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হয় তা আমরা পূরণ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষা-গবেষণা, সুশাসন ও মানবিকতায় আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রোল মডেল। সামনের দিনগুলোতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো ছড়িয়ে পড়ছে দেশ ও দেশের বাইরে। আশাকরি সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করবে।
১৯৯১ সালের এই দিনে একাডেমিক যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবি। প্রতি বছর ১৩ ফেরুয়ারি অর্থাৎ ০১ ফাল্গুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে বাংলা বর্ষপঞ্জিকার নতুন নিয়মে এবার ০১ ফাল্গুন ১৩ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শুরু হবে।
প্রতিষ্ঠার পর শৈশব, কৈশোর আর যৌবন মিলিয়ে ৩০ বছর অতিক্রম করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই সময়ের মধ্যে দেশ-বিদেশে সুনামের পাশাপাশি অর্জনের খাতায় যোগ করেছে শতাধিক কৃতিত্ব।
সিলেট শহর থেকে ০৫ কিলোমিটার দূরে আখালিয়ার বুকে ৩২০ একর ভূমির ওপর তিনটি বিভাগ পদার্থ, রসায়ন ও অর্থনীতি, ১৩ জন শিক্ষক ও ২০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের অন্যতম এ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে ৭টি অনুষদের অধীনে ২৮টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউট নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন।
৩ দশকে শাবিপ্রবির অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে এসএমএসের (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু, দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতি ও ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সেমিস্টার পদ্ধতি চালু, ক্যাম্পাসকে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ও সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা, নিজস্ব ডোমেইনে ই-মেইল চালু, যানবাহন ট্র্যাকিং ডিভাইস উদ্ভাবন।
দেশের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপিলিকা, চালকবিহীন ড্রোন আবিষ্কার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্পন্ন একুশে বাংলা কি-বোর্ড, কথা বলা রোবট ‘রিবো’, হাঁটতে সক্ষম রোবট ‘লি’ তৈরি, ক্যান্সার নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন, সেকেন্ড মেজর কোর্স চালু, অনলাইনে টান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের সুবিধাসহ অসংখ্য অর্জন রয়েছে।
তাছাড়া ‘নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জ অ্যাপস’ প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশ নিয়ে বেস্ট ডাটা ইউটিলাইজেশন ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ‘টিম অলিক’। সর্বশেষ দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদানের জন্য ‘বেস্ট ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হয়। এর আগে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার -২০১৭’ অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।