‘আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সিটি’ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে চুয়েট

  © ফাইল ফটো

আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউটের-২০২০ সালের ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইউনিভার্সিটি’র তালিকায় ৫ম স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। সম্প্রতি ‘ACI Award for Student Activities’-এর তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাশেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের ন্যায় ২০২০ সালের কার্যক্রমের জন্য ‘এক্সসিলেন্ট ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘আউটস্টান্ডিং ইউনিভার্সিটি’ এই দুইটি ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির আউটস্ট্যান্ডিং তালিকায় ৫ম সেরা হিসেবে চুয়েটের নাম উঠে এসেছে।

সারাবিশ্ব থেকে ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘Excellent’ এবং ৬৬টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘Outstanding’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম কংক্রিট আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনে প্রদর্শিত হবে এবং প্রতিটি চ্যাপ্টারের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি ব্যানার প্রদান করা হবে।

প্রসঙ্গত, এসিআই, চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত এক বছর ধরে কংক্রিট বিষয়ক সেমিনার, পুরকৌশলে উচ্চশিক্ষা, করোনায় তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের সহায়তা, কর্মক্ষেত্রে সফল চুয়েটের পুরকৌশলীদের সাথে ছাত্রদের সংযোগ স্থাপন, বিদেশে পুরকৌশল সেক্টরে চাকুরী প্রাপ্তি ইত্যাদি কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার।

উল্লেখ্য, সারাবিশ্বের দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান কংক্রিট ইনস্টিটিউট (ACI)-এর স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার রয়েছে। পুরকৌশল শিক্ষার্থীদের কংক্রিট বিষয়ে পেশাদার জ্ঞান বৃদ্ধি, পুরকৌশলী হিসেবে নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা অর্জন ও দেশ বিদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধিই মুলত এই সংগঠনের কাজ।

চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কোনো সাফল্য অবশ্যই আমাদের জন্য প্রাপ্তি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরো বড় রকমের সাফল্য নিয়ে আসবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চুয়েটকে প্রতিনিধিত্ব করবে।

উপাচার্য বলেন, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে গবেষণার প্রতিও আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি। ইতোমধ্যে সেরা গবেষণার জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ফান্ডসহ গবেষণার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চুয়েট প্রশাসন।

এসিআই চুয়েট শাখার উপদেষ্টা পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় পেশাগত চ্যাপ্টার না থাকার পরও আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ACI Headquarter চুয়েটকে কিছু শর্তসাপেক্ষ ‍স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার প্রদান করে। বিগত দুই বছরে চ্যাপ্টারটি ভিন্ন আঙ্গিকে অনেকগুলো প্রোগ্রাম আয়োজনের মাধ্যমে তার অবস্থানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আশা করছি তা ভবিষতে অব্যহত থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ