স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

  © টিডিসি ফটো

স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে কালোব্যাচ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু আবুল কাসেম প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

উপাচার্য বাণীতে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের অপামর জনসাধারনসহ বুদ্ধিজীবীরাও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন।

তিনি বলেন, যা পাকিস্থানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করেনি। ফলে, পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতেই তারা বেছে নিয়েছিল ওই নৃশংস হত্যাকান্ড। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পরাজয়ের আগমুহুর্তে পরিকল্পিতভাবে বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের। তারা চেয়েছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

হাবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিকল্পিত অপরাধ। ঠান্ডা মাথায ঘটানো নিধনযজ্ঞ।

উপাচার্যের বাণীর পরে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ