করোনা: ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরেনি চুয়েট শিক্ষার্থীরা
- গোলাম রাব্বানী শান্ত, চুয়েট
- প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২০, ১০:০০ AM , আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০, ১০:১৬ AM
বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাস চীন দেশে উৎপত্তির পর দিনে দিনে বিশ্বের প্রায় ১০০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পরেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৫ জন শনাক্ত এবং এক হাজারের বেশি কোয়ারেন্টিনে ও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
কভিড-১৯ রোগের মতো কোনো লক্ষণ যদি কারও থেকে থাকে, তাকে হাসপাতালে আলাদা রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যাকে বলে আইসোলেশন। আর কভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন কোনো না কোনোভাবে, কোনো লক্ষণ শুরুতে দেখা না গেলে তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থাটি হচ্ছে কোয়ারেন্টিন।
এদিকে করোনার আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে চুয়েটের সব ডিপার্টমেন্টের ক্লাস প্রতিনিধিরা গতকাল (শনিবার) সকাল ১১ টার দিকে মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে এ নিয়ে ফাইনাল পোস্ট দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে চুয়েট ক্যাম্পাস ত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি চলে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এরপর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ,যন্ত্রকৌশল বিভাগ, কম্পিউটার কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে আজ রবিবার ’১৬ ব্যাচের টার্ম পরীক্ষা থাকলেও তারা তা বর্জন করেছে। তবে ’১৫ ব্যাচের শেষ ক্লাস হওয়ায় তারা আজ ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্বে করোনা নিয়ে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি, এর সাথে আমাদের দেশেও সংক্রমণ শুরু হয়েছে, লোকসমাগম বেশি হবে এমন অনুষ্ঠান কর্মসূচী বন্ধ করা হচ্ছে। অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ দেওয়া উচিত, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বন্ধ ডেকেছে তাই চুয়েটও ক্লাস হচ্ছে না, কারণ সবার আগে আমাদের সেফটি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, এখনো আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো রকম জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। আমাদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন আছেন। যারা চলে যাচ্ছে তাঁরা তাদের মনে হয় পরিবার থেকে বলা হয়েছে হল ত্যাগ করতে। কিন্তু এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হচ্ছে। তারা মনের ভয়ে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
তিনি আরোও বলেন, চুয়েট প্রসাশন থেকে এখনো ক্যাম্পাস বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেওয়া হয়নি। যদি সরকারের পক্ষে থেকে সিদ্ধান্ত আসে তাহলে আমরা ক্যাম্পাস বন্ধ করার ঘোষণা দিব।