পাবিপ্রবিতে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে হল প্রভোস্টের টালবাহানা, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

পাবিপ্রবি লোগো
পাবিপ্রবি লোগো   © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

চলতি বছরের আগস্টে খুলে দেয়া হয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নতুন ‘জুলাই ৬’ হলটি। খুলে দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সাথে এক মিটিংয়ে হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান প্রতিদিন মিলে ৮ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শর্ত ছিল হলে কেউ যেন হিটার ব্যবহার না করে। শিক্ষার্থীরা সেই শর্ত মানলেও চার মাস পেরিয়ে গেছে কিন্তু প্রতিশ্রুত ভর্তুকি এখনো চালু হয়নি। এতে ক্ষোভে ফুঁসছেন হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,‘জুলাই ৬’ হল ডাইনিংয়ে খাবারের মান নিম্নমানের। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে মাছ, মুরগি, ডিম ও সবজি পরিবেশন করা হয়। ডাইনিংয়ের দাম ধরা হয় মাছ ৪৫ টাকা, মুরগি ৪৫ টাকা, ডিম ৪০ টাকা, সবজি ২৫ টাকা। অতিরিক্ত ভর্তা বা ভাজির জন্য দিতে হয় ৫ টাকা।

আরও পড়ুন:  কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও আবেদনের নির্দেশিকা প্রকাশ

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হল খোলার সময় হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সাথে মিটিংকালে হলে হিটার না চালানোর শর্তে দিনে ৬ থেকে ৮ টাকা ভর্তুকির প্রতিশ্রুতি দেন। শিক্ষার্থীরা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষাও করেন। কিন্তু হল খোলার ২ মাস পর থেকেই খাবারের মান খারাপ হতে শুরু করে। এই নিয়ে হল প্রভোস্টকে একাধিকবার জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। 

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ডাইনিংয়ের খাবার মুখে তুলতে না পারায় শিক্ষার্থীরা এখন ক্যাফেটেরিয়া অথবা ক্যাম্পাস গেটের দোকানগুলোতে খাবার খাচ্ছেন। তবে সেখানেও খরচ বেশি হওয়ায় অনেকেই আর্থিক চাপে পড়ছেন। কেউ কেউ গোপনে রুমে রাইস কুকার ও ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করে রান্না করছেন,যা হল বিধি অনুযায়ী নিষিদ্ধ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও রয়েছে।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান ফারহান বলেন, ডাইনিংয়ের খাবার খাওয়ার মতো নেই। সমাধান না হলে শিগগিরই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী রুমে রান্না শুরু করতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যাপারে হল প্রশাসন আন্তরিক। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে গত চার মাস ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। শুরুতে যে পরিমাণ ভর্তুকির কথা বলা হয়েছিল, তা হয়তো পুরোপুরি দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে আশা করি ডিসেম্বর থেকে চালু করতে পারব। 


সর্বশেষ সংবাদ