রুয়েটে ৭০০ শিক্ষার্থীর মাঝে কোরআন বিতরণ
- রুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৭ AM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০১ AM
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআনের বাণী পৌঁছে দেওয়া এবং বাস্তব জীবনে কোরআনের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘বাস্তব জীবনে কুরআন অধ্যয়নের গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনার ও কোরআন উপহার কর্মসূচি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে রুয়েট অডিটোরিয়ামে রেনেসাঁ কালচারাল গ্রুপ, রুয়েট-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন। রেনেসা কালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা ও রুয়েটের কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাঈদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, রাবি ও রুয়েট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। কোরআন বিতরণের মতো মহৎ উদ্যোগগুলো আজ দেশে ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে, যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। রেঁনেসা কালচারাল গ্রুপের এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি শিক্ষার্থীদের কেবল পেশাগত উৎকর্ষ নয়, বরং নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধেও সমৃদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, শিক্ষাজীবনে চাকচিক্যময় অনেক সংস্কৃতির মাঝে থেকেও তোমরা কোরআনের আসরে এসেছো, এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। একজন প্রকৌশলী হওয়ার পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তাও জরুরি, আর আল কোরআন ও রাসুলের জীবনী চর্চার চেয়ে উত্তম মাধ্যম নেই।
ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাইদুল ইসলাম বলেন, কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআনে নির্দেশনা রয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠন, মানবিক মূল্যবোধ বিকাশ এবং দৈনন্দিন জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনায় কোরআনের গুরুত্ব অপরিসীম।
আয়োজকরা জানান, অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ উপহার প্রদান। এ কর্মসূচি পৃষ্ঠপোষকতা করে 'আল কোরআন একাডেমি লন্ডন’ ও ‘কোরআন লার্নিং স্কুল’। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ইন্টারেক্টিভ কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কুইজে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং প্রায় সাতশত শিক্ষার্থীর হাতে কোরআন তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন ও কোরআনের জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্ব নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন 'ইনোভা ট্রিমস এন্ড ডোনেট ফর গুড' এর পরিচালক মোহাম্মদ নূরুন্নবী এবং কোরআন লার্নিং স্কুলের পরিচালক ড. মুজাহিদ মাসুম। তারা এ ধরনের উদ্যোগ মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ প্রজন্ম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।