কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
- কুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৮ PM
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান অচলাবস্থা নিরসন ও দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য অনতিবিলম্বে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের একাংশ যৌথভাবে মানববন্ধন করেছে।
আজ বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুয়েটের দুর্বার বাংলা চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা দ্রুত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, কুয়েট অ্যাক্ট ২০০৩ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সকল কাজে ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদন প্রয়োজন।
মানববন্ধনে ইইই বিভাগের ডিন ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও সেশনজট ছিল না।অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ বন্ধ।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে ছোট ছোট কাজ থেকে শুরু করে সকল কাজ ভাইস চ্যান্সেলর নির্ভরশীল। আমি ইউজিসিতে গিয়েছি, মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি উনাদেরকে বুঝিয়েছি ভিসি ছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি দ্রুত একজন অভিভাবক পাঠানোর জন্য।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা, একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সকল কাজে ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদন প্রয়োজন।আমরা ভাইস চ্যান্সেলরের জন্য অপেক্ষা করতেছি।অনেকদিন হয়ে গেছে ভিসি নিয়োগের সার্কুলার দেওয়ার পর অনেকদিন পার হওয়ার পরেও আমরা ভিসি পাইনি।আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।কিন্তু তার জন্য যে নোটিশটা প্রয়োজন সেটা ভিসি স্যার ছাড়া কেউ দিতে পারে না।
এছাড়াও তিনি এই সপ্তাহে অথবা আগামী সপ্তাহে ভিসি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সাথে ‘শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবে কিনা’ শীর্ষক আলোচনায় শিক্ষার্থীদের একাংশ আলাদাভাবে এবং একাংশ শিক্ষক সমিতির সাথে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে আগামীকাল ২৪ জুলাই শিক্ষার্থীদের একাংশ ভিসি নিয়োগের জন্য আলাদাভাবে মানববন্ধন করবে বলে জানিয়েছে।