হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার সংস্কারে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৩ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছেন ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই মেডিকেল সেন্টার থেকে নামমাত্র ও দায়সারাভাবে চিকিৎসাসেবা পেয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় ছোটখাটো অনেক সমস্যা নিয়ে গেলে তাকেও রেফার করা হয় সদর হাসপাতাল কিংবা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য জনবলের অভাবও আছে মেডিকেল সেন্টারটিতে। এ ছাড়া জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্স দুটি থাকলেও একটি নষ্ট হয়ে আছে প্রায় আড়াই বছর ধরে। ফলে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই চলছে রোগী পরিবহনের কাজ। এসব সমস্যার যৌক্তিক সমাধান ও যুগোপযোগী মেডিকেল সেন্টার তৈরির জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
আরও পড়ুন: যেভাবে সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন চবির ৩ শিক্ষার্থী, জানালেন বেঁচে ফেরা ২ বন্ধু
মানববন্ধন থেকে মেডিকেল সেন্টার সংস্কারে ৬ দফা পেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো মেডিকেলে প্রতিদিন দু-তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার ও চার-পাঁচজন নার্স নির্দিষ্ট সময়ে পরপর কর্তব্যরত থাকতে হবে; ছুটির দিনেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স থাকতে হবে; রোগী পরিবহনের জন্য কমপক্ষে তিনটি সচল অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে; ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনসহ অন্যন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং মেডিকেল সামগ্রী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে ও ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্য এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত আমাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য মেডিকেল সেন্টারকে যুগোপযোগী করে তোলা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মেডিকেল সেন্টার থেকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না। মেডিকেল সেন্টারটির দ্রুত সংস্কার এখন সময়ের দাবি।’