কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে এখনো বহিষ্কার করা হয়নি: উপাচার্য

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও কুয়েট লোগো
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও কুয়েট লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি ৩৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো চূড়ান্ত শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, তাদের যে শাস্তি প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আগে ওই শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। এরপর তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। সব প্রক্রিয়া শেষে তদন্ত কমিটি চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কোন শাস্তি দেওয়া হবে না-কি দেওয়া হবে না।’

এদিকে ১৪ এপ্রিল জরুরি এক সভার মাধ্যমে ওই ‘৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে’— এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়াকে ভিত্তিহীন বলে জানান উপাচার্য। যদিও ওই ঘটনার পর ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও চিহ্নিত ওই শিক্ষার্থী কারা— তাদের নাম-পরিচয় আজও (১৭ এপ্রিল) জানা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, চিহ্নিত ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০-১২ জন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই তালিকায় আরও রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ১৬ এপ্রিল আয়োজিত এক মানববন্ধনে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘গুটিকয়েক শিক্ষার্থী তাদের উসকানি ও অংশগ্রহণে কুয়েটের পড়ালেখার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। ভিসি স্যার একজন ভালো মানুষ। তিনি সবসময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সবার প্রতি যত্নশীল। তাই তার পদত্যাগের যে এক দফা দাবি শিক্ষার্থীরা করেছে সেটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। শুধু তাই নয়, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় যারা যারা জড়িত তাদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল কুয়েটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি। সভায় জানানো হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারির ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় উপস্থাপন করা হয় এবং সিন্ডিকেট তা গ্রহণ করে।

তবে এখনও চূড়ান্ত শাস্তির সিদ্ধান্ত আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন কুয়েট উপাচার্য।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence