শাবিপ্রবিতে ১০০০ আসনের নতুন ছাত্রহল হচ্ছে 

  © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নির্মিত হতে যাচ্ছে ১০০০ আসন বিশিষ্ট চতুর্থ ছাত্র হল। হলটি সিলেটের কৃতি সন্তান ও সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৯ জুন) বিকালে হলের নামকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩২তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, সিলেটে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে যে কয়জন মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তার মধ্যে হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী অন্যতম। উনার নিরলস প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় সিলেটের মাটিতে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি জাতির ক্রান্তিকালে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তাই আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর সম্মানার্থে তার নামে একটি ভবনের নামকরণ করা কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি । অবশেষে আমাদের সে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।

তিনি  আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে ১০০০ আসন বিশিষ্ট চতুর্থ ছাত্র হল নির্মিত হবে। আমরা সে হলটি প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে হলটি নির্মাণের টেন্ডারও হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই হলটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বাংলাদেশ সংসদের সাবেক স্পিকার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ১৯২৮ সালে সিলেটের আম্বরখানায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দেশের জন্মলগ্ন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার বিশাল অবদান রয়েছে। ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪৮ তম অধিবেশনে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তাছাড়াও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের  ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কলেজ অব উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি থেকে ১৯৮৪ সালে 'মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার' পান। বিশ্ব শান্তিকল্পে অনবদ্য কূটনৈতিক ভূমিকার জন্য তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি 'উ থান্ট শান্তি পদক' লাভ করেছিলেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর 'স্বাধীনতা পুরস্কার' প্রদান করা হয়।

সিলেটের এই ব্যক্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ছাত্রী হল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল। হলটি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মায়ের নামে নামকরণ করা হয়। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence