চুয়েটের সেই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১০:৫৩ PM , আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ১২:১৪ AM
গভীর রাতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদপানের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত রুম্মান উদয় নামে ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্তে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৩১ মে) চুয়েটের ৪৯তম ব্যাচের (শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষ দিন উপলক্ষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বাস্কেটবল মাঠে কনসার্ট আয়োজন করা হয়৷ কনসার্ট চলাকালে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক শাফকাত আর রুম্মান শহীদ তারেক হুদা হলে রাত চারটা নাগাত মদপান করতে যান। এর কিছু সময় পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনা স্থলে পৌঁছায় এবং শিক্ষার্থীদের সামনে স্বামীকে মদপান করতে দেখেন।
এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে ওই উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মারধর করেন এবং পরবর্তীতে হলের নিচে নেমে আহাজারি করতে থাকেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে শান্ত করে রুম্মান উদয়কে ধরাধরি করে শিক্ষক ডরমিটরিতে পৌঁছিয়ে দেন।
বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধরকে সভাপতি ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়। অফিস আদেশে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে সুপারিশ করার জন্য বলা হয়।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে ড. সুনীল ধর বলেন, তদন্ত কতদিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে এ বিষয় সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। সকলের সাথে আলোচনা করে দেখতে হবে।
শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট ড. নিপু কুমার দাস বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।তদন্ত কমিটি তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।
এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।