‘আবরার হত্যাকারীরা বুয়েটে কখনও ফিরতে পারবে না’

  © সংগৃহীত

মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পায়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ লিখেন-

‘টার্ম ফাইনাল চলছে। ঈদের আগের ১৯ ও ২১ ব্যাচের পরীক্ষা শেষ হয়েছে ৩দিন আগে। এসব ব্যাচের ৯০% পোলাপান হলে নেই। তার উপরে আবার শুক্রবার, মেট্রো অফ, বুয়েট বাস অফ। কালকে ২২ ব্যাচের পরীক্ষা হওয়ার কথা। রমজান মাস, আকাশেও রোদ। এতকিছু সত্ত্বেও জুম্মার পরে শত শত শিক্ষার্থী হাজির বুয়েট শহিদ মিনারে কেউ হল থেকে আর কেউ ঢাকার অন্য প্রান্ত থেকে। সবার চাওয়া একটাই, ‘আবরার ভাইয়ের রক্তে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা কেড়ে নিতে দিবো না। ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা এই বুয়েটে হবেনা।’ বার বার স্লোগান দিয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে সবার।’ 

‘দুপুর পেরিয়ে বিকাল। এত এত মানুষ কেউ চলে যেতে অনিচ্ছুক। সবাই দাবিতে অটুট। ইফতারের সময় হয়ে যাচ্ছে। মূলত যারা অন্য ধর্মের এবং রোজা ছিলো না তারাই শুরু করলো ইফতারের আয়োজন। প্রায় হাজারের কাছাকাছি মানুষ এতজনের জন্য এত স্বল্প সময়ে আর কতটুকুই সম্ভব। স্যারদের জন্য রঙ বেরঙের ফলমূল প্রবেশ করতেছে এত রোজাদার ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে দিয়ে।   আজান হলে নির্বিশেষে সবাই মিলে শিক্ষার্থীরা ইফতার করলো এক কাপ শরবত, ১টা খেজুর একটা কলা/পাউরুটি। অথচ কারোর যেন পেটে আর ক্ষুধা নেই, কোনো তৃষ্ণা কিংবা দুর্বলতাও নেই। আবারও সবাই বসে পড়লো দাবি আদায়ে। চললো রাত ৮:৩০ পর্যন্ত। কালকে আবার শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। এই স্বাধীনতা আসলেই অনেক কষ্ট ধরে রাখা কিন্তু আপনারা এদেরকে চোখ রাঙানি দেখান!
২৯ মার্চ, ২০২৪ এই গল্প যতদিন বাস্তব হতে থাকবে আমাদের বিশ্বাস এখানে আর কোনো আবরার ফাহাদের হত্যাকারী ফিরবেনা, ফিরতে পারবেনা, ফিরতে দিবেনা তোমরা।’


সর্বশেষ সংবাদ