বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের প্রধান প্যারামিটার গবেষণা ও উদ্ভাবন: ঢাবি ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫৬ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:৩০ PM
বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ের প্রধান প্যারামিটার হচ্ছে গবেষণা ও উদ্ভাবন। এখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশানের যুগ। একইসাথে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাজে লাগিয়ে তাদের কল্যাণেই কাজ করা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে প্রথমবারের মতো আয়োজিত “গবেষণা মেলা-২০২৩” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, মেলার যে ধারণা, তার সঙ্গে মানুষ অন্যভাবে পরিচিত। কিন্তু গবেষণা নিয়ে মেলা, এটা একটা নতুন ধারণা। গবেষণা মেলায় নতুন-নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও জনসম্মুখে সেই জ্ঞানের বিতরণ দুটো কাজই একসাথে হয়ে থাকে। গবেষণার মাধ্যমে সমাজে একটা রূপান্তর ঘটে।
তিনি আরও বলেন, আগস্ট মাসের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে গবেষণা মেলা আয়োজনের এটাই উপযুক্ত সময়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাতির রূপান্তর ঘটানো। বর্তমান বাস্তবতায় প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানের মাধ্যমেই সেটা সম্ভব।
“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জ্ঞান অন্বেষণ” এ স্লোগানে চুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এই গবেষণা মেলা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ ফেয়ার-২০২৩ এর আহ্বায়ক এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিসার্চ ফেয়ার-২০২৩ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া বিনতে হাই।
মেলায় দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষক, গবেষক, প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা, প্রফেশনাল ও শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা বসে। যেখানে চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃত মোট ১৩১টি গবেষণা প্রবন্ধ (৯৪টি পোস্টার ও ৩৭টি প্রজেক্ট) দুইভাগে বিভক্ত হয়ে উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, চুয়েটের ভৌগলিক অবস্থান মফস্বলে হলেও ছাত্র-শিক্ষকদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিউএস র্যাংকিংয়ে সেটার প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবন, দেশে-বিদেশে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনে সর্বদাই সচেষ্ট। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে গবেষণা সংস্কৃতি তৈরির লক্ষ্যে ‘বেস্ট রিসার্চ পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘স্টুডেন্ট রিসার্চ ফান্ড’ চালু করেছি। এবার গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার প্রয়াস হিসেবে প্রথমবারের মত গবেষণা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।