আট বছর পর শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ পেল রাবিপ্রবি

  © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষার পরে নিজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ পেয়েছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষার পরে জাতীয় স্থাপনা পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীবৃন্দ। এই প্রাপ্তির ফলে শুধু নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধিই নয় বরং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেকটা এগিয়ে গেল রাবিপ্রবি। স্থাপনাগুলো শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নয় বরং আশে পাশের প্রান্তিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।

একটা সময় ছিলো যখন জাতীয় স্থাপনা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালনে নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে জেলা কেন্দ্রিক জাতীয় স্থাপনার উপরে নির্ভর করতে হতো রাবিপ্রবিকে। আট বছরের এই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাবিপ্রবি নিজের ভূখণ্ডে খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করেছে জাতীয় স্থাপনা। যা জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বৃদ্ধির মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন: শুধু সনদ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নয়: রাষ্ট্রপতি

৬৪ একরের এই ক্যাম্পাসের অনেকটা অংশ এখনো অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। তবুও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সমস্যা দূর করে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে রাবিপ্রবি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ডিসেম্বরে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ ও চলতি বছরে অস্থায়ী শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।

রাবিপ্রবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তড়িৎ গতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী হল তৈরি, হলের নামকরণ, বিভিন্ন স্থায়ী স্থাপনা তৈরি, শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসন সহ নানান কাজ। কিন্তু এসবের পরেও যখন জাতীয় দিবস আসে তখন স্থাপনা বিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রতি শিক্ষার্থীদের যে অনীহা মনোভাব প্রকাশ পায়-তার পরিবর্তন ঘাঁটানোর লক্ষে ও জাতীয় দিবসগুলোর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে উপাচার্য খুব দ্রুত এই জাতীয় স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করেন।

উপাচার্যের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ শুরু হয়ে গত বছর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই অস্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে এমন জাতীয় স্থাপনা পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীবৃন্দ। জাতীয় স্থাপনা শুধু স্থাপনা নয় বরং দেশপ্রেম, নিজেদের ইতিহাস চর্চা সহ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশকে নতুন করে বুকে ধারণ করা ও লালন করার অন্যতম অনুপ্রেরণা। রাবিপ্রবি শুধু পড়ালেখাতেই নয় বরং ৭১ এর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে এমন প্রত্যাশা সকলের।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence