বুয়েটে ফ্রন্টিয়ার ইন সায়েন্স নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৩:১০ PM , আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৭ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুয়েট) নব গঠিত বিজ্ঞান অনুষদ আয়োজিত ফ্রন্টিয়ার ইন সায়েন্সের উপর প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুর হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে(বুয়েট) ক্যাম্পাসে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষাবিদ, গবেষক ও দেশীয় শিল্প কারখানার পেশাজীবীগণের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করা। যার মাধ্যমে গণিত শাস্ত্র, ভৌত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা এবং স্থানীয় প্রযুক্তিগত সমস্যাদি নিয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি করা। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে দেশ বিদেশের প্রায় ২০০ টি গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হবে। উক্ত সম্মেলনে শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষক এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীগণ অংশগ্রহণ করবেন। পাশাপাশি, অভিজ্ঞমন্ডলী প্লেনারী, কিনোট, ইনভাইটেড ও কন্ট্রিবিউটরী সেশনে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমসাময়িক বিষয়সমূহের উপর তাঁদের অধিলব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: প্রোগ্রামিং বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এমআইটি, অঞ্চলের সেরাতেও নেই বাংলাদেশ
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, পৃষ্ঠপোষক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, সম্মেলনের চেয়ার বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রশিদ, সম্মেলনের কো-চেয়ার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী, সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম খান সহ স্বনামধন্য শিক্ষক, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গবেষক এবং শিল্প সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন(ইউজিসি)’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমান সম্মেলন সমাপ্তি টানবেন।
আয়োজকরা আশা করছেন, বিজ্ঞান শিক্ষার কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষার মেলবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।