ইবিতে পোষ্য কোটায় শর্তহীন ভর্তির দাবি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের

ইবি
ইবি  © টিডিসি ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে কোন শর্ত ছাড়াই ভর্তি নেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি করেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের পোষ্য কোটায় ভর্তি বিষয়ে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে আসছিল। গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা চালু হওয়ার পরেও ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার ন্যুনতম যোগ্যতার শর্তে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে পৌষ্য কোটায় ভর্তি করা হয়েছে অথচ ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির কোন বিশেষ সুযোগই রাখা হয়নি।

এই দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৩০ জুলাই ৩ঘন্ট ও ৩১ জুলাই ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে নতুন করে কঠোর কর্মসূচী প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কম্পিউটার-প্রিন্টার না থাকলে শিক্ষক নিয়োগ নয়

গুচ্ছের নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেকোন শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করতে ন্যুনতম ৩০ নম্বর পেতে হবে। কোটাধারীদের জন্য একই শর্ত রাখা হয়েছে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই তাদের ভর্তির দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ.টি.এম এমদাদুল আলম বলেন, গুচ্ছ একটি অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা কোটাধারীদের জন্য কোন বিশেষ সুবিধা রাখেনি। আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা থাকলেই তাদের ভর্তি নিতে হবে। আমাদের এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যদি তারা ১ অথবা ২ পায় তবুও তাদের ভর্তি নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিতে হবে। তবে কেউ তো আর ১ অথবা ২ পায় না।

এদিকে, গুচ্ছের শর্ত সাপেক্ষে গত ২৫ জুলাই ২০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইসিটি সেল আমাদের যে তালিকা দিয়েছিল আনরা সে অনুযায়ী ভাইভা নিয়েছি।

সভার সিদ্ধান্ত সূত্রে, পোষ্য কোটায় ভর্তির যোগ্যতার বিষয়ে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ মতামত প্রদান করেন যে, পোষা ভর্তি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত আসন সংখ্যার সহিত সম্পর্কিত নয় সেহেতু পোষা ভর্তির যোগ্যতাসহ সকল সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মাধ্যমে নির্ধারণ করা সমীচীন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পোষ্যদের যোগ্যতা শিথিল করে পোষা কোটায় ভর্তির কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রেরণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপাচার্য ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যেহেতু এটা আমাদের এখতিয়ার ভুক্ত না তাই আমরা তাদের দাবির বিষয়ে গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠাবো।


সর্বশেষ সংবাদ