সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার খবরটি ভুয়া

  © ফাইল ফটো

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হচ্ছে। গত দুই ধরে এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া খবরটি ভুয়া। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকেও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

শনিবার দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর দিল আফরোজা বেগম।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার যে খবরটি ছড়ানো হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

করোনার বিস্তার রোধে ও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশে করোনার প্রকোপ না কমলে এই ছুটি আরও বাড়তে পারে।

এদিকে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। এজন্য আগামীকাল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে ‘সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা চাই’ নামক ফেসবুক প্লাটফর্ম।

মানবন্ধনের আয়োজকরা বলছেন, দেশের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিক এটা আমরা চাইনা। বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া উচিত। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য ৫ মাস ঘরে বসে থাকা অসম্ভব ব্যাপার। ইতোমধ্যে ১ বছরের সেশনজট হয়ে গেল। তার ওপর অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ গ্রাস করছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আরও সময় নেয়ার কথা জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হয়তো করোনার সংক্রমণ আরও কমে যাবে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করতে চাই। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।

ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধা নেই, সেখানে হয়তো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে থেকে লেখাপড়া করে। সেক্ষেত্রে হলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা নিয়ে আমরা সন্দিহান।


সর্বশেষ সংবাদ