উচ্চশিক্ষা কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ, দেখুন এখানে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৯ PM
বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়া প্রস্তাবের ওপর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ খসড়া প্রকাশ করে।
খসড়াটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
প্রকাশিত খসড়ার চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষা কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া পাঠানো হলো। এই খসড়া অধ্যাদেশের বিষয়ে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত এ বিভাগে পাঠানোর জন্য বলা হলো।
কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন একজন চেয়ারম্যান, আটজন কমিশনার এবং দশজন খণ্ডকালীন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে। চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত হইবেন।
খন্ডকালীন সদস্যগণ হইবেন: সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন সদস্য (যাঁহারা হইবেন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্য এবং সচিব পদমর্যাদার নিচে নহেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এমন একজন প্রতিনিধি); কমিশন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুক্রমণের ভিত্তিতে মনোনীত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দ হইতে তিনজন; কমিশন কর্তৃক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী সনদ অর্জনের অনুক্রমণের ভিত্তিতে মনোনীত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দ হইতে দুইজন; যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হইতে খণ্ডকালীন সদস্য মনোনীত হননি, সেইসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অবসরপ্রাপ্ত প্রথিতযশা অধ্যাপকবৃন্দ থেকে কমিশন কর্তৃক মনোনীত দুইজন অধ্যাপক। চেয়ারম্যান, কমিশনার ও খণ্ডকালীন সদস্য নিয়োগ, পদমর্যাদা ইত্যাদি। সার্চকমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ চার বছর মেয়াদের জন্য নিযুক্তহইবেন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে দ্বিতীয় মেয়াদে পুর্ননিয়োগের জন্য বিবেচিত হইতে পারিবেন।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান, পিএইচডিধারী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যাঁহার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার কমপক্ষে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, তন্মধ্যে অধ্যাপক হিসেবে ন্যূনতম ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, গবেষণা তত্ত্বাবধানের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রহিয়াছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যাপক প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, এমন ব্যক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন;
কমিশনের চেয়ারম্যান এমন পদমর্যাদাসম্পন্ন হইবেন যিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন পদধারী, তবে ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন। সেই মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হইবেন; চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন। তাঁহার পদত্যাগ, অপসারণ, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগতার ক্ষেত্রে কমিশনের জ্যেষ্ঠতম কমিশনার সাময়িকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান, পিএইচডিধারী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যাঁহার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকতার কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে তন্মধ্যে অধ্যাপক হিসেবে ন্যূনতম ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, গবেষণা তত্ত্বাবধানের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা রহিয়াছে,জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা রহিয়াছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রহিয়াছে, এমন ব্যক্তি কমিশনার হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন।
কমিশনারগণ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারপতির সমপদমর্যাদাসম্পন্ন হইবেন এবং সেই মোতাবেক বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হইবেন; কমিশনারগণ চেয়ারম্যানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণে থাকিয়া তাহাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন। এইরূপ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের নিকট কমিশনারগণের জবাবদিহিতা থাকিবে।