উচ্চতর গবেষণায় সহায়তা পাবেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩০ AM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩০ AM
উচ্চতর গবেষণায় সহায়তা পাবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরা। শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির অধীনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির আহরণ, উদ্ভাবন এবং প্রয়োগের বিস্তৃতি সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানী গড়ে তোলার জন্য ১১টি গবেষণা ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত ফরমে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করা যাচ্ছে। যে ১১টি ক্ষেত্রে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে সেগুলো হলো, গাণিতিক বিজ্ঞান, জীবন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইসিটি, মেরিন সায়েন্স, এসডিজি এবং ৮ম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক গবেষণা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি, ব্যবসায় শিক্ষা এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন অধ্যয়ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি সাধারণ, বিশেষায়িত, কারিগরি, কৃষি এবং চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন স্নাতকোত্তর কলেজগুলোর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শিক্ষক-গবেষক উচ্চতর গবেষণা সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন বা গবেষণা কর্ম করতে আগ্রহী তারাও আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে মুখ্য গবেষকের টেলিফোন নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, ফ্যাক্স নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
গবেষণা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট বা পিসিএন দাখিল করতে হবে। মৌলিক ও ফলিত গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মান সম্পন্ন দেশি বিদেশি জার্নালে প্রকাশনা এবং গবেষণা অভিজ্ঞাতা সম্পন্ন আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আবেদনকারী গবেষক দল বা গবেষক যার আন্তজাতিক বা জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপে প্রবন্ধ উপস্থাপনা বা অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আছে এমন আবেদনকারী প্রাধান্য পাবেন। নূন্যতম গবেষণা অবকাঠামো, চলমান গবেষণা সংখ্যা, গবেষণা প্রকাশনা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডের বৈদেশিক সংযোগমান সন্তোষজনক হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণার বিষয়বস্তু দেশে প্রয়োগ উপযোগী ও সময়ের প্রেক্ষাপটে জাতীয় চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে সাফল্য বা নির্ভরযোগ্যতা বা আশাব্যঞ্জক বুৎপত্তি (Achievement) অর্জন করেছেন এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ কর্মসূচির আওতায় আবেদনকারীর কোনো চলমান গবেষণা থাকতে পারবে না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, আবেদনপত্র আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে প্রজেক্ট কনসেপ্ট নোট ফরম পূরণ করে অনলাইনে নির্ধারিত লিংকের (http://202.72.235.210/gare) মাধ্যমে পাঠাতে হবে। নির্ধারিত ফরম ছাড়া ও অসম্পূর্ণ কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। গবেষকরা সারা বছর ধরে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে কেবলমাত্র ৩০ জুনের মধ্যে পাওয়া আবেদন ২০২৩-২০১৪ অর্থবছরের জন্য বিবেচ্য হবে। আবেদনকারীকে গবেষণা প্রস্তাবের বিষয়বস্তুর গুরুত্ব, সাফল্য-সম্ভাবনা, গবেষণার আবশ্যকীয় বিষয় ও গবেষণা খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক বাছাই বা জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সামনে প্রয়োজনে উপস্থাপন করতে হবে।
গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত নীতিমালা ও পিসিএন ফরম নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://202.72.235.210/gare) থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে গবেষকদের।