শিক্ষা বাজেটে অসন্তষ্ট শিক্ষকরা, দাবি আদায়ে অনড়

  © প্রতীকী ছবি

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা শিক্ষায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ১১.৬৯ শতাংশ। তবে এ বরাদ্দে খুশি নন শিক্ষকরা। বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ পাঁচ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন তারা। তবে এই বরাদ্দ দিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি ও জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এবারের বাজেট শিক্ষাবান্ধব হয়নি। এতে শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়নি। এমপিওভুক্তির জন্যও এবার কোনো বরাদ্দ নেই। এসময় শিক্ষাকে জাতীয়করণ সকল সমস্যার সমাধান বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১০ বছর পর সর্বশেষ অর্থবছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রাখে সরকার। সে অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে দুই হাজার ৬১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এখনও সাত হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপেক্ষায় আছে। অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকরাও দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন এমপিওভুক্তির জন্য। সব মিলিয়ে তাদের প্রত্যাশা ছিল এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেকবর হোসেন বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক হিসেবে আমরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছি দীর্ঘদিন। মন্ত্রণালয় থেকে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছিল। তবে ঘোষিত বাজেটে কোনো প্রতিফলন দেখছি না, যা হতাশাজনক।

আর নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়ের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজেটে শিক্ষা খাতের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে খুশি নেই। তবে বরাদ্দ রাখা না হলেও প্রস্তাবিত বরাদ্দ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, করোনার দিনে বাজেটে এমপিওভুক্তির বিষয়টি উল্লেখ নেই। তবে মন্ত্রণালয় চাইলে এমপিওভুক্তি দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, প্রত্যাশা মোতাবেক শিক্ষা বাজেট হয়নি। এদিকে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন বলেন, প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়েছে। আশা করি, এই অর্থের অংশ দিয়ে জাতীয়করণ করা হবে আমাদের।


সর্বশেষ সংবাদ