তরুণদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার আহ্বান

তরুণদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার আহ্বান
তরুণদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার আহ্বান  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সম্ভাবনা ও ঝুঁকি সম্পর্কে তরুণদের ভাবনা জানতে একটি ভার্চ্যুয়াল সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) তরুণ প্রজন্মের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

‘আগামীর বাংলাদেশ: ইন্টারনেট স্বাধীনতা ও তরুণ প্রজন্ম’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারে তরুণরা ছাড়াও বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, ডিজিটাল অধিকারকর্মী, সাইবার বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক অংশ নেন। এতে তরুণদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অত্যধিক ইন্টারনেট আসক্তিতে ফল খারাপ হচ্ছে

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ ওয়েবিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে। ওয়েবিনারে তরুণরা নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার-আদবকেতা এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার চর্চা পরিবার থেকেই শুরু করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এজন্য পরিবারের নারী সদস্যদের, বিশেষ করে মায়েদের, সচেতনতা ও ইন্টারনেট বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান, ডিজিটাল ডিভাইসের নিরাপদ ব্যবহার ও নিরাপত্তা সম্পর্কে জানাতে হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বিষয়ে নিজেদের আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে বলে তারা মনে করেন।

আরও পড়ুন: কচ্ছপ গতিতে চলছে রাবির ইন্টারনেট

ওয়েবিনারে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও ইয়ুথ ফর চেঞ্জের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জহির রায়হান, ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য ব্রেভ গার্লসের’ ব্যবস্থাপক রেনেকা আহমেদ অন্তু, সারেক বাংলাদেশের ভলান্টিয়ার পিয়ার লিডার মো. মাসুদ রানা নাঈম এবং ডিডব্লিউ একাডেমি বাংলাদেশের প্রজেক্ট এসোসিয়েট রুমানা আক্তার শান্তা।

অনুষ্ঠানে ওয়ার্কিং গ্রুপের পক্ষে জহির রায়হান ‘অনলাইনে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করার উপায়’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে ব্যবহারকারীর সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে একটু সচেতন হলে সহজেই মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করা যায়।’

আরও পড়ুন: শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক সভা

রেনেকা আহমেদ অন্তু বলেন, প্রচলতি পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও সামাজিক বৈষম্যের প্রভাব ইন্টারনেটের দুনিয়াতেও প্রবলভাবে বিদ্যমান। এজন্য বাংলাদেশে নারী তথা মেয়ে শিশু, কিশোরী ও তরুণীদের জন্য ইন্টারনেটে প্রবেশগম্যতা ও এর নিরাপদ ব্যবহার পুরুষদের তুলনায় অনেক কঠিন।

মো. মাসুদ রানা নাঈম বলেন, তরুণদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলো তাদের ব্যক্তিগত পরিসর। এই ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ইন্টারনেটে নিরাপদ বিচরণের জন্য পাবলিক প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বশীল আচরণ করতে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

রুমানা আক্তার শান্তা বলেন, অনলাইনে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন একাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে জরুরী। এজন্য শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার, একাউন্টের নিরাপত্তায় টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা এবং ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

ওয়েবিনারে আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করতে হলে তরুণ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও অবারিত ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে তরুণীদের, অগ্রাধিকার দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ