অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে থাকবে কোরআনের আয়াত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২০, ০২:৫২ PM , আপডেট: ০৯ জুন ২০২০, ০৩:০৪ PM
দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার ভিন্ন এক বাজেট বক্তব্যে রাখতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এই দুর্যোগপূর্ণ মহামারি কাটিয়ে ওঠার জন্য পবিত্র কোরআনের সূরা আল বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের স্মার্ট বাজেটের বক্তব্য শেষ করবেন তিনি।
আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী তার দ্বিতীয় যে বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন তার খসড়া বক্তব্যে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজেট বক্তব্যের খসড়া অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী সূরা আল-বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াত থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য শেষ করবেন। যে আয়াতের অর্থ হচ্ছে ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। এবং রোগীকে সুসংবাদ দাও।’
বাজেট বক্তব্যের শেষভাগে অর্থমন্ত্রী আরও বলবেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তার সৃষ্টির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করবেন না। তাই তিনি শিগগির আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেবেন।’
বাজেট বক্তৃতায় তিনি আরও বলবেন, ‘করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে এবারের সময়টা একেবারেই ভিন্ন। এটা গতানুগতিক বাজেট নয়। এটা একটা আপৎকালীন বাজেট।’
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানা গেছে, বাজেট বক্তব্যে তিনি শুধু কোরআনের বাণী শোনাবেন এমনটি নয়। এ করোনাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে মানুষের জীবন রক্ষা করা। তাই মহামারির সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচানোর বিষয়েই সবচেয়ে গুরুত্ব দেবেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও আগামী বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা না থাকায় তা দেয়া হয়নি। তবে চলতি বছরের তুলনায় পাঁচ হাজার ৭৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বাড়িয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। শীর্ষ বরাদ্দের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে স্থাস্থ্যসেবা বিভাগ।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুকূলে নিয়মিত এ অর্থ বরাদ্দের পরও করোনাভাইরাসের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বাজেটে। যা করোনাকালীন যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে খরচ করা যাবে।