প্রতি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে ফাইভ জি প্রযুক্তি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:২৫ PM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৩১ PM
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইভ জি প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিজয় সফটওয়্যার ও নেটিজেন আইটি আয়োজিত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর সম্মেলন ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
নেটিজেন আইটি‘র প্রেসিডেন্ট আসিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয় ডিজিটাল সফটওয়্যারের প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুঁই বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বক্তৃতায় ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের বৈপ্লবিক রূপান্তরের ফলে আগামী দিনের বিস্ময়কর পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশে ডিজিটাল জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এই লক্ষ্যে শহরের সীমা ছাড়িয়ে তৃণমুলের দূর্গম পল্লীসহ সমগ্র দেশের সকল নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভূক্ত করার বিকল্প নেই। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ রূপান্তরের প্রধানতম কৌশল হতে হবে দেশের মানব সম্পদকে সবার আগে ডিজিটাল রূপান্তর করা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে যাওয়ার বড় শক্তির নাম হচ্ছে জনশক্তি। আমরা প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়কে চলার উপযোগী ডিভাইস তৈরি করার সেই মানুষটি তৈরি করতে হবে। এই লক্ষেই নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানের কারিগর হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে শিশুদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। ২০২০ সালে শিশুদের জন্য রোবটিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তরে তাঁর ৩২ বছরের প্রচেষ্টার উল্লেখ করে বলেন, আমরা একটা রূপান্তরের মধ্যে বসবাস করছি। ছোট বড় মাঝারি কেউ এই রূপান্তর থেকে রেহাই পাবে না। আমরা এখন যে রূপান্তরটা এখন দেখছি তা গত দশ বছরের রূপান্তর। এই রূপান্তরটা সামনের দশ বছরে একহাজার গুণ বেশী পরিবর্তন হবে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইভ জি প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে এসময় তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর ফলে মাছের খামারে কিংবা ধানক্ষেতে আইওটি ডিভাইস বসবে। কারখানায় রোবট স্বাগত জানাবে।
মন্ত্রী দেশে ২০২১ সালের মধ্যে শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি প্রস্তুত সম্পন্ন হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।