সর্বজনীন পেনশনের অর্থ দিয়ে কেনা হবে ট্রেজারি বন্ড

সর্বজনীন পেনশন তহবিল
সর্বজনীন পেনশন তহবিল  © ফাইল ফটো

সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে অর্থ বিভাগের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত তহবিলে জমা পড়া ১২ কোটি টাকা থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হবে। সম্প্রতি অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার (২২ অক্টোবর) এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৮৪৬ জন সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা জমা দিয়েছেন। চাঁদা জমা পড়েছে ১২ কোটি ৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে সমতা স্কিমে সম্পৃক্ত হয়েছেন ১৬৬৩ জন। যাদের চাঁদার পরিমাণ ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রবাস স্কিমে যুক্ত হয়েছেন ৪৪৬ জন। চাঁদা জমা দিয়েছেন ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। প্রগতি স্কিমে ৬৬৯৪ জনের চাঁদার পরিমাণ ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর সুরক্ষা স্কিমে যুক্ত হয়ে ৬০৪৩ জনে মোট চাঁদা জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনগণের অর্থ নিশ্চিতভাবে ফিরিয়ে দিতে দ্রুত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রোববার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। বিধিমালা হওয়ার পর অন্যান্য খাতে অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থ ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন: প্রধানমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত, ৫০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে নমিনি পেনশন স্কিম গ্রহণকারীর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন।

চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগেই মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে তার জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ