মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করেন দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় অতিথিবৃন্দ
ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় অতিথিবৃন্দ  © সংগৃহীত

দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করছেন। দিনদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বারের মিলনায়তনে ‘সবার জন্য ডিজিটাল ব্যাংকিং: আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সেতুবন্ধন’ শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এসব কথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালুর পর বর্তমানে প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ এ সেবা ব্যবহার করছে। এজেন্ট ব্যাংকিংসহ BEFTN, NPSB, BD-RTGS এর মতো আধুনিক পেমেন্ট সিস্টেম দেশের লেনদেনকে দ্রুত, নিরাপদ ও সহজ করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এজাজুল ইসলাম এবং রবি আজিয়াটা পিএলসির কমার্শিয়াল পার্টনারশিপস প্রধান।

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন জানান, নারী নেতৃত্বাধীন আমানত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২০১১ সালের ৩৩ মিলিয়ন থেকে ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ মিলিয়নে। স্কুল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টও বেড়ে ৪ দশকি ৪ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ ফিনান্সিয়াল কার্ড ব্যবহার করে। নিম্ন আর্থিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ব্যবহারে দুর্বলতা, উচ্চ খরচ, সেবার সীমাবদ্ধতা, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ভোক্তা সুরক্ষার অভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সমানভাবে হচ্ছে না। বিশেষ করে গ্রামীণ নারী, অতিদরিদ্র ও উপকূলীয় জনগোষ্ঠী সবচেয়ে পিছিয়ে আছে।’

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণের আহ্বান জানান তাসকীন আহমেদ। যার মধ্যে রয়েছে—ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা, আর্থিক ও ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং ভোক্তা সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা।


সর্বশেষ সংবাদ