মাধ্যমিকের ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে, নেয়া হবে এমসিকিউ—প্রস্তাব মাউশির

ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি
ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি  © ফাইল ফটো

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার রচনামূলক প্রশ্নে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না। এর পরিবর্তে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে (এমসিকিউ) এ পরীক্ষা নেয়া হবে। এ ছাড়া সময় কমিয়ে এ ভর্তি পরীক্ষা সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে হতে পারে। সোমবার (৯ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

সাধারণত প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বিদ্যালয়গুলোর ভর্তির ফরম বিতরণ শুরু হয়। এবার করোনাভাইরাসের তাতে কিছু বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা রয়েছে। সে কারণে রাজধানী ৪১টি বিদ্যালয়ে তিন ভাগে নয়টি পরীক্ষা নেয়া হবে। তিনটি পরীক্ষার পরিবর্তে বাড়তি এই পরীক্ষা নেয়া হবে এবার। আর পরীক্ষা হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। জানা গেছে, করোনার কারণে এ বিষয়ে নতুন কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে তা বাস্তবায়ন হবে।

মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সংশোধিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির পরীক্ষায় বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ ও গণিতে ২০ পূর্ণমান নম্বর নির্ধারণ করে এক ঘণ্টার পরীক্ষার কথা বলা হয়। আর চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির পূর্ণমান ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর বণ্টন করা হয়েছে। তবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হলে সময় কমিয়ে আনা হবে।

এবারও রাজধানীর ৪১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন ক্লাস্টারে ভর্তি করা হবে। অবশ্য আগে প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের আবেদন করার সুযোগ ছিল। তবে এবার প্রতিটিতে পাঁচটি করে ১৫টি বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি আবেদন করার সুযোগ থাকছে।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এসএম গোলাম ফারুক বলেন, এসব স্কুলে ভর্তির নীতিমালা আগেই জারি করা হয়েছে। এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পদ্ধতির বিষয়ে গত ২৭ অক্টোবর মাউশির মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে রাজধানীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধানদের ভার্চুয়াল সভা হয়। সেখানে উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে নতুন চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি।

সে মোতাবেক, করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় তা গুরুত্ব দিয়ে রাজধানীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে ক, খ ও গ তিনটি ক্লাস্টারে বিভক্ত করা হবে। এর প্রতিটিতে তিন দিন করে মোট ৯টি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে সশরীরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা, প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি নেয়ারও প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

যদিও অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া প্রস্তাবে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এর আগে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাব বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে নাকচ হয়েছে। এখন মাউশি থেকে এমন প্রস্তাব পাঠানো রহস্যজনক। সফটওয়্যার বাণিজ্য করার জন্য এ প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা তাদের।


সর্বশেষ সংবাদ