সেসিপ প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি কোন দপ্তরের মাধ্যমে?
সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম বা সেসিপ প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের একটি অংশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং আরেকটি অংশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বেতন পান। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ভিন্ন ভিন্ন দপ্তর থেকে বেতন পাওয়া এসব শিক্ষকদের বদলি কোন দপ্তরের মাধ্যমে হবে।
বিষয়টি জানতে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেছেন, ‘সেসিপ প্রকল্পে যারা মাউশির অধীনে বেতন পান, তারা মাউশির সফটওয়্যারেই বদলির সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ মাউশির আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলির সুযোগ পাবেন। তারা মাদ্রাসা কিংবা কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবেন এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’
যেহেতু শূন্য পদ নেই, সেহেতু আন্তঃঅধিদপ্তরের মাধ্যমে বদলি হওয়া যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেসিপ প্রকল্পে যারা এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন এবং মাউশির মাধ্যমে বেতন পান, তারা মাউশির মাধ্যমেই বদলি হবেন।’
এ বিষয়ে সেসিপ ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ফোরামের আহ্বায়ক মো. রাশেদ মোশারফ বলেন, সেসিপের আওতায় সাধারণ শিক্ষা দ্বারা পরিচালিত ৬৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোকেশনাল কোর্স চালু রয়েছে। যার মধ্যে ৫৭০টি হাইস্কুলের ভোকেশনাল শাখায় বেতন দেওয়া হয় মাউশির মাধ্যমে। আর বাদবাকি ৭৫ টি দাখিল ভোকেশনাল এর বেতন দেওয়া হয় মাদ্রাসার মেমিস শাখা থেকে। সেসিপ টু সেসিপ বদলির জন্য শূন্য পদ নেই। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল পদ পূরণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাদেরকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বদলি নীতিমালায় যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (এমপিও) মো. খোরশেদ আলম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের বদলির সফটওয়্যার এখনো প্রস্তুত হয়নি। আর আপনি যে বিষয়টি বলছেন, সেটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’