সান্ধ্য কোর্সের বিপক্ষে গিয়ে তোপের মুখে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল

  © ফাইল ফটো

সান্ধ্য কোর্সের বিপক্ষে থাকায় কিছু শিক্ষকের তোপের মুখে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভার পর এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রুবেলের ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষকেরা৷ পরে দুজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পরিস্থিতি শান্ত করেন৷

বেলা তিনটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সভা হয়৷ এতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত হলেও সান্ধ্য কোর্স নিয়ে তুমুল হট্টগোল হয়। শেষমেষ সান্ধ্য কোর্সের ভর্তি কার্যক্রম পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা। সাত ঘন্টায়ও তারা এ বিষয়ে কোনো সমাধানো আসতে পারেননি।

জানা গেছে, সভায় সান্ধ্য কোর্সের বিষয়ে যাচাই কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে শিক্ষকরা তর্কে জড়ান। সভায় নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত সান্ধ্য কোর্স বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন মাকসুদ কামাল৷

জানা গেছে, সভা শেষ করে সংবাদ সম্মেলনের পর নিজের গাড়িতে উঠতে গেলে তোপের মুখে পড়েন তিনি। সোমবার সান্ধ্য কোর্স ও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ওই জরুরি সভা হয়।

সভা শেষে সান্ধ্য কোর্সের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। সেখানে অধ্যাপক মাকসুদ কামালও ছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে গাড়িতে উঠছিলেন এ এস এম মাকসুদ কামাল৷

এ সময় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে মাকসুদ কামাল গাড়ি থেকে নামেন। তখন ১৫-২০ জন শিক্ষক অধ্যাপক মাকসুদ কামালকে ঘিরে ধরেন৷

ওই শিক্ষকেরা তাকে বলেন, ‘আপনি আমাদের নেতা৷ কিন্তু সভায় আমাদের পক্ষে কেন অবস্থান নেননি? আপনি এখনই উপাচার্যের সঙ্গে সান্ধ্যকোর্স নিয়ে কথা বলবেন।’ এসময় মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যা করা প্রয়োজন, উপাচার্য তা করবেন৷ উপাচার্য আপনাদের অভিভাবক।’

তখন সেখানে থাকা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন মাকসুদ কামালের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নীল নকশা আঁকছেন। শিক্ষক সমিতি থেকে আপনার পদত্যাগ করা উচিত৷’

এ বিষয়ে অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা যেকোনো অভাব-অভিযোগ আমাকে জানাতে পারেন৷ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে কয়েকজন শিক্ষক সান্ধ্য কোর্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণ আমার নিকট জানতে চান। তাঁদের বক্তব্য শুনে আমি চলে যাই৷’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence