জুস, পানি দিয়ে অনশন ভাঙ্গলেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৪ PM , আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯, ১২:২৪ AM
বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতসহ চার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার পর চার দিনের মাথায় জুস ও পানি দিয়ে অনশন ভাঙ্গালেন ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি তাদের অনশন ভাঙ্গান এবং তাদের দাবী বিষয়ে কথা বলার জন্যে ধানমন্ডির তিন নম্বর অফিসে ওবায়দুল কাদের ডেকে পাঠান।
সোমবার রাত আটটার দিকে তাদের অনশন ভাঙ্গান মারুফা আক্তার পপি। তাদের অনশন ভাঙ্গানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্য ও পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর হাসান সৈকত।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্যার আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি আপাকে পাঠান আমাদের দাবির বিষয়ে কথা বলার জন্য। মারুফা আক্তার পপি বলেছেন আমাদের দাবি গুলি ওয়াদুল কাদের দেখবেন। তিনি আমাদের নিজের হাতে জুস ও পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান। ওবায়দুল কাদের স্যার ধানমন্ডির তিন নম্বর পার্টি অফিসে আমাদের ডেকেছেন। আমরা এখন পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য,কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়াসহ চার দফা দাবিতে গত ২৬ মে থেকে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন পদবঞ্চিতরা। এসব দাবি আদায়ে গত শুক্রবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
তাদের চারটি দাবি হলো- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ; শূন্য ঘোষিত ১৯টি পদসহ ‘বিতর্কিতদের’ পদবিসহ নাম প্রকাশ; অবস্থান কর্মসূচী পালনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন ও মধুর ক্যান্টিনে পদবি তদের ওপর হামলার বিচার।
প্রসঙ্গত, সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই গত কমিটির পদ না পাওয়া নেতারা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ যোগ্যদেরকে বাদ দিয়ে, বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকুরিজীবী, মাদকসেবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদেরকে পদায়ন করা হয়েছে। আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন। তবে শূণ্য পদগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।
পরবর্তীতে বিতর্কিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে বসেন পদবি তরা। এক মাস একদিন পার হলেও দাবি না হওয়াই আমরণ অনশনে বসে ছিলেন তারা।