বোনের প্রেমিককে হত্যা করেন ভাই, ধরে রাখেন বাবা-মা, খালা

নিহত জাহিদের স্বজনদের আহাজারি
নিহত জাহিদের স্বজনদের আহাজারি  © ফাইল ছবি

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে (১৭) হত্যায় জড়িত ছিল ছয়জন। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ছাত্রের কিশোরী প্রেমিকাকে সেফ কাস্টডিতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীর বাবা, ভাই ও খালাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, গত ২৮ আগস্ট বাগাতিপাড়া বিল থেকে পীরগঞ্জ সাধুপাড়া স্কুলের জাহিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকার রাশুর ছেলে সে। তার লাশের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তিন বছর ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেম ছিল তার।

রবিবার রাতেই তার মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরপর প্রেমিকাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে তাকে সেফ কাস্টডিতে পাঠান আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ওই কিশোরীর কলেজপড়ুয়া ভাইকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের বাড়িতে আসে জাহিদ। তার মা বিষয়টি জানালে সে খালাকে জানায়। এরপর খালা ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসে। বোনের ঘরে জাহিদকে দেখে কিলঘুষি মারতে থাকে।

আরো পড়ুন: রক্ত দিতে গিয়েছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী, বিলের পাশে মিলল লাশ

তিনি আরও জানান, এরপর দুর্বল হলে জাহিদের গলায় ঘরে থাকা রশি দিয়ে ফাঁস দেয়। তার মা, বাবা, খালা ও খালাতো ভাই জাহিদকে ধরে রাখে। ছেলে নিস্তেজ হওয়ার পর স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসককে ডাকলে তিনি জানান, সে মারা গেছে।

মোস্তফা কামাল বলেন, রাত ১২টার দিকে সবাই মিলে লাশ বিলে ফেলে যায়। কিশোরীর ভাইয়ের দেওয়া তথ্য মতে, বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এরপর বাবা ও খালাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। কিশোরীর ভাই ও বাবা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন আদালতে।


সর্বশেষ সংবাদ