বিয়ের খবরে প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা করলেন প্রেমিকা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪০ AM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪০ AM
প্রেমিক আলী নূর বিশ্বাসের অন্যত্র বিয়ের খবর শুনে ক্ষোভে তাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আহিনা খাতুন নামে এক নারীর। গত ৩০ জুলাই ভোরে সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র্যাবের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মরদেহ গ্রামের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হোগলডাঙ্গায় পৌঁছালে তাকে দাফন করা হয়।
আলী নূর বিশ্বাস ওই গ্রামের মো. বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। সাভারে অটোরিকশা চালাতেন তিনি। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় থাকার সময়ে আহিনার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জিরাবো বাজার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কোরবানির ঈদে আলী নূর বাড়িতে এলে তার বিয়ে হয়। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে গত ১৭ জুলাই সাভারে চলে যান।
সেখানে গিয়ে অহিনার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। পরে আলী নূরের বিয়ের কথা জানতে পেরে গোপনে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওই নারী। বাড়ি বদল করে গত ২৯ জুলাই নামাপাড়া এলাকায় টিনশেড বাসায় ওঠেন তারা। ৩০ জুলাই রাতে ঘুমন্ত অবস্থাতেই আলী নূরকে দা দিয়ে মাথা, গলা ও বুকে কুপিয়ে হত্যা করেন অহিনা।
ঘটনার পরে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা হয়। পরে বিষয়টির ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। একপর্যায়ে আটক হন আসামি আহিনা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।
আরো পড়ুন: চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ: সেই অভিশপ্ত রাতের বর্ণনা দিলেন ভুক্তভোগী নারী
র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মামুদ খান বলেন, নীলফামারীর মিজানুর রহমানের সাঙ্গে অহিনার প্রথম বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে তিনি আশুলিয়ায় চাকরির সুবাদে এলে আলী নূরের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড় ভাই নূর আলম বলেন, আলী নূর কোরবানির ঈদে বাড়ি এলে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের আগে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তার কোনো পছন্দ আছে কিনা। সে জানায় কোনো পছন্দ নেই। এ কারণে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। এখনও নতুন বৌ ঘরে তুলতে পারিনি। তার আগেই ভাই হত্যার স্বীকার হয়েছে।
বাবা মো. বাহাদুর আলী বলেন, ছেলের বিয়ে হয়েছে তা আমরা কেউ জানতাম না। বিয়েটাই যে তার জন্য কাল হবে, বুঝতে পারিনি। র্যাবের হাতে ছেলের হত্যাকারী আটক হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার চাই।