মাদ্রাসা পরিচালকসহ দুই জনকে কুপিয়ে জখম

হামলায় আহতরা
হামলায় আহতরা  © সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদ্রাসা পরিচালকসহ দুই জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার রহিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকাবাসী জড়ো হয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আহতরা হলেন, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত কাজী সাইদুর রহমানের ছেলে ও রহিমপুর হেজাজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার পরিচালক কাজী মোহাম্মদ লোকমান (৫২) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (২৩) এবং একই গ্রামের মৃত আনছর আলীর ছেলে ময়নাল হোসেন (৬৫)।

আরও পড়ুন: দাখিল ও আলিম পরীক্ষার্থীদের দুই সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের পূর্ব থেকেই রহিমপুর গ্রামের কাজী মোহাম্মদ লোকমান ও আশরাফ মেম্বারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে লোকমানের অনুসারীরা শনিবার বিকেলে সদরের আল্লাহু চত্বর এলাকায় আশরাফ মেম্বারের অনুসারী শাহ আলমকে মারধর করে। এ খবর আশরাফ মেম্বারের লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে, তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে রহিমপুর হেজাজিয়া এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক কাজী মোহাম্মদ লোকমান ও তার সাথে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য ময়নাল হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বাবার উপর আক্রমনের খবর শুনে কাজী মোহাম্মদ লোকমানের ছেলে মেহেদী হাসান এগিয়ে এলে তাকেও বেধরক পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে ওই এলাকার সাংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন হামলায় আহত কাজী লোকমান ও ময়নাল হোসেনকে দেখতে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান এবং উপস্থিত সকলকে আইনের উপর আস্থা রেখে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: উত্তাল বশেমুরবিপ্রবি, লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হচ্ছেন স্থানীয়রা

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, উভয় পক্ষ পরবর্তীতে যেন আর কোন ঘটনা না ঘটাতে পারে সেজন্য ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করেছি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ