স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজির জামিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৫ PM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৫ PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। রোববার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আবুল কালাম আজাদসহ জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। এ সময় আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আদালতের দুদক শাখার কর্মকর্তা জুলফিকার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আমি একজন সৎ দক্ষ সফল মেধাবী কর্মকর্তা: ডা. আবুল কালাম
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর দুই দফায় অস্থায়ীভাবে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তারও আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে ও বাকিরা জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ
গত বছর আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।