টিকটকে স্কুলছাত্রীর চুমুর ভিডিও, মামলা না নেয়ায় আত্মহত্যার হুমকি

মোবাইল ফোনে ভিডিও করে টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়
মোবাইল ফোনে ভিডিও করে টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়  © সংগৃহীত

বরগুনায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রীর জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার এক সহপাঠী নাঈম। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ার ভুক্তভোগী ছাত্রী আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।

জেলার পাথরঘাটা পৌরসভার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর অভিযোগ, বুধবার স্কুল ছুটির আগেই সহপাঠী নাঈম তার স্কুলব্যাগ ক্লাস থেকে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুলগেটে অপেক্ষা করে। ছাত্রী ব্যাগ নিতে গেলে কিশোর তাকে চুমু খায়। কিশোরের আরেক সহপাঠী তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে টিকটকে ছড়িয়ে দেয়।

ছাত্রীর অভিযোগ, সহপাঠী নাঈম তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি তার মা ও মামাকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এখন আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই।

ছাত্রীর মা এক প্রতিবেশীর কাছে ওইদিনই ভিডিওটি দেখতে পান বলে জানান। তিনি বলেন, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি। প্রধান শিক্ষক বললেও ছেলেকে নিয়ে স্কুলের যাননি তার মা।

“শুক্রবার রাতে মামলা করার জন্য থানায় যাই। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ওসি সাহেবকে দেখাই। ওসি আমাদের অনেক সময় বসিয়ে রেখে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি মামলা না নিয়ে আমাদের বিদায় করে দেন। এখন সম্মান বাঁচাতে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।”

কিশোর নাঈমের বাবা সৌদি প্রবাসী। কিশোরকে নিয়ে তার মা পাথরঘাটা ইউনিয়নের হাজিরখাল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় নাঈম বখাটে এবং উৎশৃংখল প্রকৃতির ছেলে। বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ইভটিজিং সহ মারামারি অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে পাথরঘাটা কেএম সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকেও তার নাম বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরে তিনি ওই স্কুলে এসে ভর্তি হন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, স্কুল ছুটির পরে গেটের বাইরে এ ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা কথা শুনেছি। এই বিষয়ে নাঈমের পরিবারকে অবহিত করলে তারা তাকে হাজির করতে পারেনি। সে কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে সমাধানে যেতে পারেনি।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। তারা মামলা করতে আসেননি, বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন। আমি ছেলের মাকে বলেছি, তার ছেলেকে নিয়ে থানায় আসতে।


সর্বশেষ সংবাদ