পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আদালতে নেয়া হয় সাংবাদিক কাজলকে!

  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকা সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর দু’হাত পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ সচেতন মহলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

আজ রোববার (৩ মে) বিকেলে শফিকুল ইসলাম কাজলকে (৫১) যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতিতে তার দু’হাতে পেছন দিক থেকে হ্যান্ডকাফ পরানো ছিলো।

যশোরের আইনজীবী মাহমুদ হাসান বুলু বলেন, সাংবাদিক কাজলের নিখোঁজের ঘটনা মিডিয়ার কল্যাণে বহু মানুষ তার সম্পর্কে জেনেছে। তিনি পালিয়ে যাওয়ার মতো মানুষ নন। তার সঙ্গে এমন আচরণ কোনভাবেই শোভনীয় নয়।

তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার আসামিদের পেছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর বিধান রয়েছে। এটি ভুল হয়নি।

শনিবার (২ মে) রাতে বেনাপোল সীমান্ত থেকে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধারের দাবি করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রঘুনাথপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক দেখিয়ে থানায় দেয়।

এরপর আজ রবিবার সকালে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান গণমাধ্যমকে জানান, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি উদ্ধার করে। ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে তাকে আটক দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেনাপোল থেকে পাঠানোর সময় পিছমোড়া দিয়ে হ্যান্ডকাফ পরানো ছিল না। তবে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়তো দেওয়া হতে পারে। এটি ভুল নয় দাবি করে তিনি বলেন,মামলার আসামিদের পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরানোর নিয়ম হয়েছে।

এদিকে আদালতে উপস্থিত অনেকের সঙ্গে সাংবাদিক কাজল কুশল বিনিময় করেন। তিনি বলেন, ‘এখন আলোর মুখ দেখছি, আমি দেশবাসীর দোয়া চাইছি!’

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় ‘পক্ষকাল’-এর অফিস থেকে বের হন। এরপর থেকে কোনও সন্ধান মিলছিল না তার। পরদিন ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসি নয়ন।


সর্বশেষ সংবাদ