পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন
ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১২ PM
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাস (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব ও পুলিশ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সদর দপ্তর ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের পাঠানো পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।
এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা থানায় মামলার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তার মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত দীপু চন্দ্র দাস (২৮) জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি এই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।