হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও একজন শনাক্ত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ PM
ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারীদের সাথে হাদির নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে হাজির থাকা আরও একজনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের ফাতিমা তাসমিন ঝুমা ১৩ ডিসেম্বর তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে তিনজন ব্যক্তিকে গোল চিহ্নিত করে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন এই ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে।
ইতোমধ্যে ওই ছবির গোল চিহ্নিত দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে, যাদের মধ্যে একজন হাদির ওপর গুলিবর্ষণের মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ, অন্যজন তার বাইকচালক আলমগীর হোসেন।
তাদের উভয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা চাপ-দাঁড়ি মুখের ব্যক্তিটির নাম জাকির হোসেন (ওরফে জিন জাকির), যার বাসা রাজধানীর মিরপুর এলাকায়। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ১২ তারিখ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধের ডাকাতির মামলা হয়েছিল এবং ওই রাতেই আরও ২জনের সাথে জাকিরকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এরপর একই মাসে ২৭ তারিখ গাবতলী থানায় জাকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরেকটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেন কামাল হোসেন নামক এক ব্যক্তি। অবশ্য এই মামলাটির এজাহার মতে, ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটেছিল ৬ অক্টোবর তারিখে। তবে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়।
১৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ডিএমপির ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করে জাকির হোসেন সহ আরও দুই সহযোগীর ছবি প্রকাশ করা হয়।
ওই পোস্টে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর ২০২৪ দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় সরাসরি জড়িত তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল: ১। শরীফুল ইসলাম তুষার (৩৫), ২। জাকির হোসেন (৩৭) এবং ৩। মো. মাসুূুদুর রহমান (৪৭)। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে দুই লক্ষ বিশ হাজার নগদ টাকা, প্রায় চার ভরি ওজনের স্বর্নালঙ্কার ও দুটি আইফোন উদ্ধার করা হয়।
দ্য ডিসেন্ট গাবতলী থানায় মামলা দায়েরকারী কামাল হোসেনের কাছে ডিএমপির পেইজে প্রকাশিত ছবি এবং হাদীর ওপর গুলিবর্ষণকারী ফয়সাল ও আলমগীরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছবি পাঠিয়ে ‘চেনেন কিনা’ প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান ছবি দুটির ব্যক্তিটি তার বাসায় ২০২৪ সালে ডাকাতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবং তার বিরুদ্ধে তিনি আদাবর থানায় মামলা করেছেন। তার নাম ‘জিন জাকির’।
কামাল হোসেন বলেন, আমার বাসায় তারা কয়েকজন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঢুকে ডাকাতি করেছিল। এরপর মোহাম্মদপুরে আরেক ডাকাতির ঘটনায় তাদেরকে পুলিশ আটক করলে আমাকে ডেকে নেয় পুলিশ এবং তখনই এই জিন জাকিরকে আমি চিহ্নিত করি।
উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে জাকিরের নাম লেখা রয়েছে, জাকির হোসেন ওরফে জিন জাকির। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের শৌলমারীতে।
এডভোকেট ওমর সাদমানীর পিটিশনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি আতাউর রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত জুলাই মাসে জাকির হোসেনের জামিন মঞ্জুর করলে ওই মাসেই তিনি কারাগার থেকে বের হোন।
সুত্র: দ্য ডিসেন্ট