‘গুমের নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনা, বাস্তবায়ন করতেন তারিক সিদ্দিকী’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৯ PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের নির্দেশ দিতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তা বাস্তবায়ন করতেন তারিক সিদ্দিকী। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি এই তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গুমের মূল নির্দেশ আসত সবসময় শেখ হাসিনার কাছ থেকে। শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশ না দিয়ে তার সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকি, যিনি তার ছোট বোনের দেবর, তার মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়াতো। তারিক সিদ্দিকি ডিজিএফআই, আর্মি, র্যাব, পুলিশ সবার ওপরে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার পক্ষে কমান্ড করতেন, কখন কাকে গুম করতে হবে, কাকে হত্যা করতে হবে, কাকে বন্দি করতে হবে। আবার কাকে কখন ছেড়ে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পরে তারিক সিদ্দিকি তিনি কমান্ড করতেন ডিজিএফআইয়ের ডিজিদেরকে। তাদের আন্ডারে ছিলেন সিটিআইবির ডিরেক্টররা। সুতরাং পুরো মামলাটা কমান্ড স্ট্রাকচারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
চিফ প্রসিকিউটর এদিন দুপুর ১২টায় ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, তারিক সিদ্দিকী, পলাতক ডিজিএফআইয়ের সাবেক চার মহাপরিচালক এবং গ্রেপ্তার তিন সেনা সদস্যসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আবেদন করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ মামলায় গ্রেফতার থাকা তিন সেনা সদস্যকে এদিন সকালে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।