অচেতনভাবে পড়েছিলেন সাত দিন, জ্ঞান ফেরে কুকুর টেনে নিয়ে যাওয়ার সময়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ PM , আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ PM
মাদক কেনার জন্য অটোরিক্সা চালক মো. মহিনুরের কাছ থেকে ৫০০ টাকা চেয়েছিল তারই চাচাতো ভাই হাসান আলী। তবে এই টাকা দিতে রাজি হননি মাহিনুর। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে বন্ধু কালা সোহেল ও বোন জামাই কসাই সোহেলকে নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মহিনুরকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে পড়লে মাহিনুরকে কোনাবাড়ীর জঙ্গলে ফেলে যান তারা। সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েছিলেন প্রায় সাত দিন।
অচেতন হয়ে পড়ে থাকার এক পর্যায়ে কুকুর মাহিনুরকে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে জ্ঞান ফেরে তার। এ সময় চিৎকার-চেচামেচি শুরু করলে স্থানীয় এক পিঠা বিক্রেতা মহিলা অন্যদের খবর দেন। পরে সবাই মিলে মাহিনুরকে কোনাবাড়ীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে চলে যান মাহিনুর।
মহিনুরের ছোট ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামসুল আলম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমার বড় ভাইকে তার অটোসহ অপহরণ করা হয়েছে এবং হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
সামসুল আলম তার বড় ভাই মহিনুরের বরাত দিয়ে জানান, গত ২৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা অতিক্রম করার সময় তার চাচাতো বোন জামাই কসাই সোহেলের নেতৃত্বে তার শ্যালক ও ভায়রা ভাই হাসান আলী ওরফে আসনকে দিয়ে গতি রোধ করে। সে সময় তার সহযোগী ছিল কালা সোহেল এবং কবির ।
তারা প্রথমে অটো চালক মহিনুরকে ইয়াবা খাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা চাদা দিতে বলে। ভাইয়া টাকা দিতে রাজি না হলে তার গাড়ির চাবি নিয়ে টানাটানি শুরু করেন। পরে তাকে চাপাতি, ছুরি দিয়ে জখম করে গাড়ি ছিনিয়ে নেয়। তাকে সাহেববাড়ি এলাকায় এক জঙ্গলে নিয়ে ছোট ছুড়ি দিয়ে সমস্ত শরীরের জখম করে। এতে রক্তক্ষরণ হয়ে ভাইয়া অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে মৃত ভেবে সেই জঙ্গলে ফেলে অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার এসআই মো. কাজল হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৭ দিন নিখোঁজ থাকা মহিনুরকে জঙ্গলে ফেলে রেখে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। আট দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে মহিনুরকে। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায়মহিনুরের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদি হয়ে মামলা করেছেন।