বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে, মাস না যেতেই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ AM , আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৬ AM
বগুড়া শহরের কইপাড়ায় আফিয়া আকতার শম্পা (১৯) নামে এক নববধূর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার স্বামী রিয়াজুল জান্নাত। পরে এলাকাবাসী রিয়াজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শম্পা কাহালু উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে।
স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মাসখানেক আগে শম্পা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে রিয়াজুল জান্নাতকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা শহরের কইপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই রিয়াজুলের যৌতুক দাবি সামনে আসে। স্বজনদের দাবি, রিয়াজুল শম্পার বাবার কাছে ৬ লাখ টাকা ও একটি আর ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল যৌতুক হিসেবে দাবি করেন।
শম্পা এতে রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিনের নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় রোববার সন্ধ্যায় শম্পাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন রিয়াজুল।
আরও পড়ুন: বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলআরোহী স্কুলছাত্র নিহত
শম্পার এক চাচা বলেন, ঘটনার ২০ মিনিট আগে শম্পা তার বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘বাবা, স্বামী আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, তুমি আমাকে বাঁচাও।’ কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শম্পাকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে জানালার সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শম্পার মরদেহ দেখে। পরে তারা রিয়াজুলকে আটক করে পুলিশে দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং রিয়াজুল জান্নাতকে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, ‘শম্পার মৃত্যু রহস্যজনক। তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে—তা এখনও নিশ্চিত নয়।’
তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে; প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় স্বামী রিয়াজুলকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।