লালপুর-বাঘা সীমান্তে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৩

আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে
আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে  © টিডিসি

নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা সীমান্তে  দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— বাঘার নিচখানপুর এলাকার মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬) এবং শুকুর মণ্ডলের ছেলে নাজমুল মণ্ডল (২৬)। 

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিহার চন্দ্র মণ্ডল জানান, মুনতাজের শরীরে বিভিন্ন স্থানে শতাধিক, রাকিবের শরীরে প্রায় ৮০টি, নাজমুলের শরীরে প্রায় ৩৫টি এবং আমানের মাথাসহ শরীরের অন্তত পাঁচ স্থানে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। গুলির ক্ষত দেখে পুলিশ ধারণা করছে, পিস্তল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি লালপুর সীমান্তে নয়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী হবিরচর এলাকার লালপুরের অংশে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের  দুইজন নিহত ও অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী হবিরচর এলাকার লালপুরের অংশে পদ্মার হবির চরে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে  মিনহাজ মণ্ডলের ছেলে আমান মণ্ডল (৩৬), আশরফ মণ্ডলের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮), চান মণ্ডলের ছেলে মুনতাজ মণ্ডল (৩২) এবং নাজমুল হোসেন (৩২)। এ সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’ নামের একটি সশস্ত্র দলের সঙ্গে তাদের গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তারা গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আমান মণ্ডল মারা যান। পরে নাজমুল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অন্য দুই গুলিবিদ্ধ—মুনতাজ মণ্ডল ও রাকিব হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

নিহত আমানের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বলেন, “চরে পতিত জমিতে খড় কাটতে গিয়েছিল আমার ছেলে আমানসহ আরও কয়েকজন। হঠাৎ কাকন বাহিনীর লোকজন এসে বিনা কারণে গুলি ছুড়ে। এতে দুজন মারা গেছে।”

পুলিশ ও নিহতদের স্বজনদের দাবি, চরাঞ্চলে জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’ এই হামলা চালিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ