ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ: কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন সেই মজনু

ঢাবি লোগো ও মজনু
ঢাবি লোগো ও মজনু  © ফাইল ফটো

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মজনু কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে কারাগার থেকে পালিয়ে যান মজনু। তবে তাতেও রেহাই হয়নি। কারাগার থেকে পালানোর ৪৭ দিন পর ফের তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারেই রয়েছেন মজনু।

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন মজনু। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কারাগারে হামলা হলে সেই সুযোগে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এর পর তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা। পরে তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সেখান থেকে পুনরায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় মজনুকে। 

জানতে চাইলে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মজনু পালিয়ে গিয়ে বাচঁতে পারেননি। তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।’ 

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, দ্য ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ‘কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার অপরাধে মজনুর নামে গাজীপুর কাশিমপুর থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। ধর্ষণের ঘটনার তিনদিনের মাথায় মজনুকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাকে শনাক্ত করেন। তার বিরুদ্ধে চার্জশিটে বলা হয়েছিল, আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শুধু মজনুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে একই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।


সর্বশেষ সংবাদ