স্বর্ণ-ডলার পাঠানোর নামে যেভাবে পার্সেল প্রতারণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ PM
ফেসবুক, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যামের মাধ্যমে ম্যাসেজ দিয়ে স্বর্ণ-ডলার পাঠানোর নামে পার্সেল প্রতারণা শুরু করেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের একটি বিশেষ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্টন থানার শান্তিনগর ব্র্যাক ব্যাংক শাখার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত হলেন, মো. ফারুক হোসেন। তিনি দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রতারক চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউএস আর্মি, ইউএস নেভি ইত্যাদি পরিচয়ে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে ভিকটিমদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর স্বর্ণ, হীরা, মূল্যবান পাথর কিংবা বিপুল পরিমাণ ডলার ও ইউরো পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দিতে বাধ্য করত। টাকা জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্লক করে দিতো চক্রের সদস্যরা।
তিনি বলেন, নাইজেরিয়ান নাগরিক মারলন স্যামুয়েলসসহ দেশি-বিদেশি প্রতারকদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই চক্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয় ছিল। ভুয়া পরিচয়ের আড়ালে তারা মোট ১৬ জন ভিকটিমের কাছ থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৮ টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেপ্তার ফারুক হোসেনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের দুটি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে একটিতে ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ৬৮৫ টাকা এবং অন্যটিতে ২১ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৫ টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ার পর সিআইডি বাদী হয়ে মোমেনা আক্তার রানি, নাইজেরিয়ান নাগরিক মারলন স্যামুয়েলস, মো. কামরুল মোকসেদ প্রকাশ সাজু, ইমরান হাসান ইকবাল, মো. ফারুক হোসেন, মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স ও মেসার্স জননী ট্রেডার্সসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাপর অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।