অভিযোগ ‘১৫০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক’ তিনি, বরখাস্ত সেই দুদক কর্মকর্তা

মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল আলম  © সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আরেক উপপরিচালক মাহবুবুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন গত ৪ সেপ্টেম্বর জারি করা হলেও রবিবার তা সামনে এসেছে। 

এর আগে ১৭ জুলাই উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এবং ৬ অগাস্টে উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন। মাহবুবুল আলমকে বরখাস্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তদন্ত থেকে দায়মুক্তির বিনিময়ে আইডিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছ থেকে কোটি টাকা গ্রহণ, এসেনসিয়াল ড্রাগসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নেওয়া এবং নিজ নামে, স্ত্রী ও মায়ের নামে জমি ও বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। “অভিযোগ অনুযায়ী, শুধু ঢাকার গুলশান, বসুন্ধরা, জোয়ার সাহারা, ডেমরা ও জামালপুরের সরিষাবাড়িতে তার প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত দুদকের ২০/২০২৫ নম্বর কমিশন সভায় অভিযোগের গুরুত্ব এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ বরখাস্তের সময়ে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী মাহবুবুল আলম খোরাকি ভাতা পাবেন। এ আদেশ প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।


সর্বশেষ সংবাদ