দাড়ি রাখার অনুমতি পেলেন সেই তিন পুলিশ কনস্টেবল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৮ AM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৮ PM
হবিগঞ্জে অনুমতি ছাড়া দাড়ি রাখার অভিযোগে শাস্তি পাওয়া সেই তিন পুলিশ কনস্টেবলকে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার। ২২ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে ওই তিন পুলিশ সদস্যের আবেদনের পেক্ষিতে দাড়ি রাখার অনুমতি প্রদান করে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, হবিগঞ্জ জেলায় কর্মরত নিম্নবর্ণিত পুলিশ সদস্যদের ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক দাঁড়ি রাখার জন্য আবেদন দাখিল করেছেন। তাদের দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক দাঁড়ি রাখার অনুমুতি প্রদান করা হলো।
তারা হলেন—সদর কোর্টে কর্মরত কনস্টেবল দুলাল মিয়া, অপরাধ শাখার কনস্টেবল হৃদয় আহমেদ ও মোটরযান শাখার কনস্টেবল ইফতেখার হোসেন সুমন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এন.এম সাজেদুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের নিয়ম আছে অনুমতি নিয়ে দাড়ি রাখতে হয়। অনেক সময় অনুমতি না নিয়ে দাড়ি রাখে অনেক পুলিশ সদস্য এতে করে নোংরা থাকার একটি প্রবণতা থাকে। সেভ অথবা দাড়ি কার্ট-সাট না করে এলোমেলো থাকে। এছাড়াও অনেক সময় আমাদের মুসলিম রেওয়াজ মেনে দাড়ি রাখে না। গোঁফ কাটে না। যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের ৩জনেরই একমাস বা দুই মাসের দাড়ি।
তিনি বলেন, আমি নিজেও একজন ধার্মিক। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি, আমার মুখেও দাড়ি আছে। পুলিশের নিয়ম মেনে শাস্তি দেওয়ার পর তারা যখন দাড়ি রাখার অনুমতি চেয়েছে তখন তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানে আইনের কোন ব্যতয় ঘটে নি কিন্তু এটাকে একটা মহল ভাইরাল করার চেষ্টা করছে।
এর আগে, হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এ.এন.এম সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে জানা যায়, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দাড়ি রাখার জন্য আবেদন করলেও অনুমোদনের আগেই সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলরা দাড়ি রেখেছিলেন। এজন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার সময় তাদের মুখে দাড়ি দেখা যায়। এ অবস্থায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে প্রত্যেককে দুই দিনের জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ‘পিডি’ (প্যারেড ড্রিল) ভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে আরআই (ভারপ্রাপ্ত), পুলিশ লাইন্স হবিগঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—শাস্তি কার্যকর করে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করতে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শাখার ইনচার্জদের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদান করার নির্দেশও জারি করা হয়।