নুসরাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামী গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১৫ PM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১৫ PM
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হাফেজ আবদুল কাদেরকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকার ছাপড়া মসজিদের পাশের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল কাদেরের বড় ভাই রহিমের বাসায় তিনি অবস্থান করছিলেন। পিবিআই’র একটি সূত্র সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আবদুল কাদেরকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে এজাহারভুক্ত সব আসামি এখন আইনের আওতায় বলে জানা গেছে।
আবদুল কাদের সোনাগাজী আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে। তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আবদুল কাদেরের মামা মাহবুবুল আলমও আবদুল কাদেরকে গ্রেফতারের ব্যাপারটি সাংবাদিকদেরকে নিশ্চিত করেছেন। অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার অনুগত হিসেবে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন আবদুল কাদের।
আলোচিত এ মামলা এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবসার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, কামরুন নাহার, জান্নাতুল আফরোজ ও মুহম্মদ শরীফ।
ওই মামলায় এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়। হাফেজ আবদুল কাদের বাকি ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের মাধ্যেমে এজহারভুক্ত সব আসামী এখন আইনের আওতায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।