বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা আটক
- ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৬ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ AM
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (বিআইইউ) শাখার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মুগদার মান্ডায় এলাকায় বাসার নিচে আড্ডারত অবস্থায় একদল শিক্ষার্থী তাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক আবদুল্লাহ আল নোমান জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৫ আগস্ট টিএসসি, শাহবাগ, ঢাকা মেডিকেল, শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে হকিস্টিক, বাঁশ, লোহাসহ বিভিন্ন দেশিও অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের ওপরে সভাপতি শুভ্র দেব গুহো এবং আবদুল্লাহ আল নোমান জয়ের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পরে বিআইইউ শাখা ছাত্রলীগ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মুগদার মান্ডা এলাকায় বাসা থেকে নিচে নেমে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একদল শিক্ষার্থী তাকে আটক করে। পরে খবর শুনে আশেপাশে থাকা আরও শিক্ষার্থীরা চলে এলে, শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে থাকাকালীন জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক শিক্ষার্থীকে হয়রানি ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের সামনে মাদক সেবন ও শিক্ষক হয়রানি ও হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষকদের জামায়াত ট্যাগ দিয়ে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেন এবং হেনস্তা করেন তিনি।
নুসরাত জাহান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মেয়ে দেখলে বুলিং করা, ডিস্টার্ব করা, ফেসবুক আইডি খুঁজে খুঁজে হুমকি দেয়া; এমন কোনো কাজ নাই যা উনি করতেন না।’
সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জয় আমাকে পূজার পোস্ট অ্যাপ্রুভ না করায় গাড়িতে মারধর করতে উঠে। তার ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে একাধিকবার ক্যান্টিনে নিয়ে থ্রেট দেওয়া, ওয়াসিক এবং আফনানকে দিয়ে আমাকে ক্যাম্পাসে মারতে চেয়েছিল।’
আইন বিভাগের পঞ্চাশ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুরু হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট বোন যখন প্রতিবাদ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবাদী ভাষায় কয়েকটা পোস্টার নিয়ে দাঁড়ায়, তখন সন্ত্রাসী কায়দায় এসে তাদের হাত থেকে পোস্টারগুলো কেড়ে নিয়ে তাদের হেনস্তা করেন। তিনি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের চায়ের দাওয়াত করে অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন করতেন।’
হুমায়ূন কবির নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাপের নির্দিষ্ট একটা সীমা অতিক্রম করার পর আল্লাহর তরফ থেকে হেদায়েত আসা বন্ধ হয়ে যায়।’