‘চাঁদা না পেয়ে’ ১০ দোকানে তালা, জামায়াত-বিএনপি’র ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩১ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ PM
নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০ দোকানে তালা লাগানোর অভিযোগে জামায়াত ও বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও আহম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), স্থানীয় বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৫) ও তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কোরবান আলী, শাহ আলম ও মোতালেব হোসেন আহম্মদপুর বাজারে জমি কিনে ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। তাদের নামে এসএ এবং আরএস খতিয়ান আছে। প্রায় ৭০ বছর ধরে তারা ওই জমি ভোগদখলে আছেন এবং নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে রুহুল আমিন, আজিমুদ্দিন, হায়দার আলী, মুজিবর রহমানসহ ৪০-৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাজারে গিয়ে দোকানপ্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য কোরবান আলীদের হুমকি দেন। তারা রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ১০টি দোকানঘরে তালা লাগিয়ে দখলে নেন। দোকান না ছাড়লে ব্যবসায়ীদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা স্থানীয় সেনা ক্যাম্প ও বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে সন্ধ্যায় বাজারে অভিযান চালান। এ সময় দোকানগুলোর তালা ভেঙে সেগুলো প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং চার অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘দোকানের জমির মালিক আমরা। দীর্ঘদিন ওই জমি বেহাত ছিল। এখন আমরা দখলে গেছি। ভাড়া দাবি করেছি। তাই চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।’ তবে দোকানে তালা লাগানো ঠিক হয়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মামলার চার আসামিকে সেনাসদস্যরা আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।